Translate

Saturday, 10 November 2018

বুদ্ধিজীবী!

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নব্য-বুদ্ধিজীবিদের নৈতিক অবস্থান ও সমর্থনের যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদের যে ভাষিক রূপ দেখতে পাচ্ছি, তার সাথে আমাদের দেশের কথিত বুদ্ধিজীবিদের সার্বিক অবস্থানের বিষয়টিকে বিবেচনা করলে, আক্ষরিক অর্থে 'বুদ্ধিজীবি' পরিচয়টিকে যথেষ্ট ছোট করা হয় । কেননা ঐসব কথিত বুদ্ধিজীবিরা ব্যক্তিগত সংকট-সংঘাত-সমস্যার কাছে মাথানত করে ক্ষমতার প্রতি সত্য ভাষণের আদর্শিক-যৌক্তিক লড়াই করার সৎ সাহস-শক্তিটুকু ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছেন ।
তাই তো এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীনদের এমন 'অগণতান্ত্রিক' ক্ষমতার ব্যবহার দেখেও দিব্যি তারা তাদের মৌনব্রত পালন করে চলেছেন।
সে হিসেবে নব্য-বুদ্ধিজীবিরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মত মানবিক এবং অরাজনৈতিক একটি ইস্যুতে উল্টোমুখো গণমাধ্যম ও ক্ষমতাসীন দলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছাত্র-সমাজের ক্ষমতাবিরোধী প্রতিবাদের সাথে সংহতি জানিয়ে যে বুদ্ধিজীবিতার পরিচয় দিচ্ছেন, নিজেদের 'উপলব্ধিযোগ্য অস্তিত্ব'র উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন, বুদ্ধিজীবির পরিচয় সাপেক্ষে তাঁদের এই অবস্থান প্রশংসনীয়!

০১/০৭/২০১৮ইং

Saturday, 3 November 2018

চক্র

বাইরে বের হওয়াটা এত সহজ না, যত সহজে ফিরে আসা যায় তারচেয়েও কঠিন মনে হয় রহিমুদ্দির কাছে প্রতিদিন একই সময়ে একই কাজের উদ্দেশ্যে নিয়ম করে বাইরে বের হওয়াটা,যদিওবা পেটের দায় থেকেই এমনটা করতে হয় প্রতিদিন অনেক লোকের,সে হিসেবে বিষয়টাকে সে একপক্ষীয়ভাবেও ভাবতে পারে না, তারপরও কি এক যান্ত্রিক উপায়ে কাজটা তার রোজ করে যেতে হচ্ছে,ভেবে কূল পায় না রহিমুদ্দি,হয়তো তার মত আরো অনেকেই, হয়তো কোন একদিন এই পাকচক্রের মোহ কিম্বা মায়া কাটাতে না পেরে আত্মহত্যার মত পাপ কাজ করে বসবে সে,কে জানে?
কখনো কখনো এসব ছাইপাশ ভাবতে ভাবতে ছমিরনের মুখটা ক্ষণিকের জন্য ডুবোচরের মত ভেসে উঠে । রহিমুদ্দি তখন আরো আনমনা হয়ে যায় । হঠাৎ একসময় তা হারিয়ে যায় । রহিমুদ্দিও সংবিৎ ফিরে পেয়ে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে আগের মতো!
যেন কিছুই হয়নি ।


'চক্র' গল্পের অংশবিশেষ।

Thursday, 1 November 2018

মধ্যপাঠে...

অ্যাডাপ্টেড এক ডাচ্ যুবকের নিজের শিকড়ের প্রতি যে টান ; তার মর্মস্পর্শী আখ্যান-ই 'বারে বারে ফিরে আসি'-এর মূল উপজীব্য বিষয় ।

মানিক ওরফে মাইকেল বাংলাদেশে এসেছিল ঘুরতে । তার পালক ডাচ্ বাবা-মা'র কাছ থেকে সে জেনেছিল এই বাংলাদেশ থেকেই ছোটবেলায় ত‍াকে হল্য‍ান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ।
তার আসল বাবা-মা'র কাছ থেকে চুরি করে ডাচ্ এনজিও কি তাকে তার ডাচ্ বাবা-মা'র হাতে তুলে দিয়েছিল নাকি তার হতদরিদ্র আসল বাবা-মা নিজেই তাদের শিশুপুত্রকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল এ নিয়ে মাইকেলের সন্দেহ আছে ।
তারপরও কি এক অনুভূতি থেকে তার মধ্যে এই বোধ কাজ করে যে, তাকে চুরি-ই করা হয়েছে । আবার কখনো কখনো এ বিষয়ে তার মধ্যে মিশ্র অভিমান কাজ করে, তার মনে হয় তার বাবা-মা এ কাজ ইচ্ছে করেই করেছে ।

 যখন চরম হতাশা আর ক্লান্তি লাগে এসব বিষয়ে, তখন নিজেকে তার বিপন্ন মনে হয় ।

জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিকের বয়ানে কাহিনি এভাবেই এগুচ্ছে...

স্মৃতির কঙ্কাল ও জুলাইয়ের ভূত : এক অন্তর্বীক্ষণ

১. এক বছর পেরিয়ে গেল, অথচ আমার ফেসবুকের সময়রেখা যেন থমকে আছে এক অদৃশ্য বিন্দুতে। হাসিনার পলায়ন কি কেবল একটি শাসনের শেষ ছিল, নাকি মুক্তিকামী ...