Translate

Wednesday, 27 June 2018

আত্মগীতি

এক.
সমাজের শিকড়হীন মানুষদের মাঝে নিজেকে একটা আপদমস্তক শিকড় বলেই মনে হয় আমার । যে আমি বটবৃক্ষের শিকড়কে বিস্তার করেই চলেছি । ইদানিং  যেখানেই শিকড়কে মাটির গভীরে বিস্তার করতে গিয়েছি সেখানেই দেখি, মাটিগুলো নরম হয়ে আসছে । আর আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করি, প্রোথিত শিকড়গুলোও আগের মতো মাটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নেই ।
ক্রমশ ঢিলে হয়ে আসছে; চারিদিকে যেন জল থৈ থৈ!

দুই.
আমার এই শিকড়; বইয়ের শিকড়!
বইপড়ার জাগতিক কোন লাভজনক দিক আপাত দৃশ্যমান হয়নি বলেই 'জন্মসূত্রে'র উদ্ধত খড়গ বহুমাত্রিক অপমান হয়ে হাজারো বৈষয়িক যন্ত্রণায় দগ্ধ মস্তিষ্ককে বার বার আঘাত করে চলেছে । যার ক্ষরণটা হচ্ছে শুধু হৃদয়ে । যা কেউ জানে না । হয়তো কোনদিন কেউ জানবেও না!

তিন.
কোথাও কোন আয়োজন নেই আমার এই বইপড়া নিয়ে । বাকিসব আয়োজন ঠিকই আছে!
অথচ কেউ জানবেনা বই পড়ে কি ক্ষতি হয়েছে আমার,তারা যে শুধু লাভটুকুই  চাই!
সুধীজন বলেন, বই পড়লে মাথা খোলে । অথচ আমি নাকি কেবল অথর্ব-অপদার্থ এক নিঃসঙ্গ কীটে পরিণত হয়েছি । যার চেয়ে ঐ চটপটে হুজুগে ছেলেটাই নাকি ভাল ছিল, যে কিনা সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলত ।
আবার বলছেও যাচ্ছেতাই, বই পড়ে দিন দিন নাকি গন্ডমূর্খ হচ্ছি!

চার.
প্রবহমান ঘটনার স্রোতে বয়ে চলা এই পৃথিবীর তাবৎ ঘটনার মধ্যে আমার বইপড়ার বিষয়টি খুবই গৌণ ।
তথাপি আমি জ্বলন্ত সিরিয়ার আগুনের সংবাদ আর তার ইন্ধনের ইতিহাস এই বইয়েই পড়েছি । আর ফিলিস্তিনের গণমানুষের উপর ইহুদীদের রাষ্ট্রিক-সামরিক জাতিগত নিপীড়নের খবর পেয়েছি মাহমুদ দারবিশের কবিতায়, ঐসব উল্টোমুখো গণমাধ্যমের বিপরীতে দাঁড়িয়ে!

পাঁচ.
ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশকে নিয়ে গণমাধ্যমের যে রাজনীতি, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাদের যে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ, একইসঙ্গে একটি দেশ কিংবা একটি পৃথিবীর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেওয়ার কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেওয়ার যে অনৈতিক প্রবণতা, তার শৃঙ্খলিত ইতিহাসকে, একইসাথে তার সাম্রাজ্যবাদী আচরণকে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার দায় এবং এর (আপাত) যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জেনেছি এডওয়ার্ড সাঈদের বই পড়ে; যে দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে দিয়েছে নতুন পথের দিশা, যেটা আর কেউই আমাকে  দেখাতে পারে নি ।
তারপরও আমার বইপড়া কিংবা বই সংগ্রহ করা নিয়ে আমাকে সবসময় একধরনের ডিপ্রেশনে থাকতে হয় । অনেক সমীকরণ মেলাতে হয়!

ছয়.
প্রেমের ঐন্দ্রজালিক উৎসের সন্ধান আমি বইয়েই পেয়েছি । এবং এর বহুমাত্রিক প্রকাশ যে মানুষের মনে কতো রকমের প্রভাব ফেলে; একই সাথে কৈশোরের দ্বিধা-ভয় মিশ্রিত অনুভূতিগুলো কিভাবে যাপিত জীবনের স্মৃতি মন্থনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠে একসময় তার গল্পও তো আমি এই বইয়েই পড়েছি ।
নর-নারীর মনোদৈহিক অস্থিরতার কাল্পনিক অভিজ্ঞতা আর প্রকৃতির অসীম নাটকীয়তার গোপন পাঠ নিতে গিয়ে কতোরকম অনভিজ্ঞতার ভয়ংকর অথচ সুদর্শন ফাঁদে আটকে পড়েছি একসময়, তার কোন ইয়ত্তা নেই ।
আর এইসব ক্ষেত্রে সময়ে-অসময়ে আমি কতোবার কতোরকম ভাবে যে তাড়িত হয়েছি তার খবর-ই বা ক'জনে রাখে!

সাত.
হায়! শৈশবের উল্লেখযোগ্য কোন স্মৃতি আমার মস্তিষ্ক ধরে রাখতে পারে নি।পরম যত্নে তুলে রাখা একান্ত স্মৃতিগুলোও বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে দিন দিন । যাইহোক, তত্ত্ব আর তথ্যের ভারে নুব্জ্য হয়ে পড়া এই মস্তিষ্কে এখনো আমি আমার প্রথম বই পড়ার স্মৃতি ধরে রেখেছি!

মনে পড়ে, প্রথম প্রথম কমিক্সের বইয়ের প্রতি খুব ঝোঁক ছিল । চাচা চৌধুরি, নন্টে-ফন্টে আরো কতো কি।আহা! সচিত্র ছবির সাথে কাহিনিগুলো পড়তে তখন কি যে ভালো লাগতো ।
মনে আছে, স্কুলের পরিত্যক্ত বুকশেলফ থেকে কুড়িয়ে নিয়ে 'বামবি' আর 'কাঠেরপুতুল পিনিকিউ' নামের দু'টি বিদেশি কমিক্সের বইও পড়েছিলাম একবার ।
বামবি-সেই ছোট্ট হরিণ ছানা-র মায়াবি মুখটি এখনো চোখের সামনে ভাসছে যেন!

রাশেদ রউফের 'কাকবন্ধু ও ভূতের গল্প' আমার পড়া প্রথম গল্পের বই ।
ভূতের গল্পগুলো এখন আর মনে নেই । হাজারো বৈষয়িক স্মৃতির ভিড়ে সেগুলোকে হারিয়ে ফেলেছি । কাকবন্ধুর গল্পটি এখনো মনে আছে ।
'গল্প'রা হয়তো এভাবেই স্মৃতি তৈরি করে । আর পাঠকের মাঝে বেঁচে থাকে বহুদিন ।

সেসময় প্রচুর ভূতের গল্পও পড়েছি ।
এই ভূত-পেত্নির খপ্পরে পড়ে রাস্তার পাশের ভাসমান দোকানগুলো থেকে কতো কতো ভূত-পেত্নি সংগ্রহ করেছি । আর রাতের বেলা সেগুলো পড়ে পড়ে চেতনে-অবচেতনে কতোবার কতোরকমভাবে শিহরিত হয়েছি, ভাবলেই হাসি পায় এখন । আহা! বোকা শৈশব ।
আরো একটি বইয়ের কথা মনে পড়ছে এই মুহুর্তে ।
নাম 'অশরীরি' । লেখক প্রণব ভট্ট।উপন্যাসটির কাহিনি কি ছিল; তা আজ আর মনে নেই । তবে কালো রঙের প্রচ্ছদটা আবছা আবছা মনে আছে ।
'কাকবন্ধু ও ভূতেরগল্প'র পরে এটিই আমার পড়া প্রথম কোন উপন্যাসের বই।

আট.
ক্রিটিক্যাল চিন্তা-ভাবনা থেকে বই পড়লে পাঠরুচির পরিবর্তন হয় । একই সাথে ব্যাক্তির চিন্তাধারারও । তাছাড়া এক্ষেত্রে  লেখকের মতাদর্শিক অবস্থানের সাথে পাঠকের আদর্শিক অবস্থানেরও একটা পরিচয় হয়ে যায় । যার প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক । যখন পাঠকদেরকে রাজনীতি সচেতন, প্রগতিশীল কোন লেখকের বই পড়ে মার্কসীয় দর্শনে প্রভাবিত হয়ে বাম রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়তে দেখি,তখন তার যৌক্তিক প্রামাণ্যতা ক্রমশ স্পষ্ট হয় ।
আর এর সাথে ধীরে ধীরে যুক্ত হয় মুক্তচিন্তা, মুক্তিবুদ্ধির মতো অনুষঙ্গগুলো । শিল্প-সাহিত্যে যার প্রায়োগিক ব্যাবহার দেখে মুগ্ধ হই । প্রভাবিত হই ।

নির্মোহ আত্মসমীক্ষার কষ্টিপাথরে নিজেকে যাচাই করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগতভাবে এই পাঠাভ্যাস কনজারভেটিভ পাঠকদের পাঠের চেয়ে অধিকতর ফলপ্রসূ বলে মনে করি ।

নয়.
যখন কোন বই পড়ি, তার সাথে লেখকের দার্শনিক উপলব্ধির ভেতর দিয়ে যাই; তখন নিজের চিন্তার মধ্যে একটা আশ্চর্যজনক তারতম্যের উপস্থিতি টের পাই!
তাই কখনো কখনো যেই বইটি পড়ছি সেটি বন্ধ করে দিয়ে ঝিম ধরে বসে থাকি । চিন্তা করি । লেখকের ভাবনাকে নিজের মতো করে ভাববার চেষ্টা করি । অবশ্য এর ফলাফল যে সবসময় ইতিবাচক হয় এমনও না!
আবার কখনো কখনো নিজের ধারণাকে এগিয়ে রেখে পাঠ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও লেখকের সাথে বেশিরভাগ সময় ঠিক পেরে উঠি না । তখন নগন্য পাঠক হিসেবে একধরনের আত্মগ্লানি কাজ করে ।

দশ.
বইপড়ার কথা বলতে গিয়ে আসলে এখানে অামি নিজের কথাই বলেছি ।
নিজেই নিজের গীতি গেয়েছি; অনেকটা বইয়ের সাথে সাথে নিজেকে পড়ার মতো করে ।
আর আপন আলয়ের গান তো নিজেকেই গাইতে হয়, নিজের মতো করে, আত্মমগ্ন হয়ে, ধীরে ধীরে, খুব নিবিড়ভাবে!

পুনশ্চ, এটি দীর্ঘ সময় নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে লিখিত হয়েছে; তারপরও শুধুমাত্র বইপড়াকে বিবেচনার কেন্দ্রে রাখলে প্রতিটি পর্বের মধ্যে  হয়তো একটা যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে, একইসাথে প্রাসঙ্গিকভাবে আমার স্মৃতি-পাঠ-চিন্তা-রুচি-বোধ আর বাতিরও!
অাদৌ কি?
কে জানে...

রচনাকাল~
২/৫/'১৮ইং--১৯/৬/'১৮ইং


Saturday, 23 June 2018

বইমেলা

প্রতিবছর ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় বাংলা একাডেমী ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি আয়োজিত 'একুশে বইমেলা'কে নিয়ে বাঙালী সাহিত্যপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস আর আগ্রহের শেষ নেয়। বইকে নিয়ে এতবড় ও দীর্ঘস্থায়ী আয়োজন পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। এই একটা মাসকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশ আর বই বিক্রির ধুম পড়ে যায়।একই সাথে বেড়ে যায় লেখক-প্রকাশকদের ব্যস্ততাও। তাছাড়া  আর্থিক-বাণিজ্যিক দিক দিয়েও এর একটা উপযোগিতা আছে বৈকি।

এই একমাসে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বিবিধ বিষয়ে হাজার হাজার বই বের হয়। মানসম্পন্ন বই প্রকাশে প্রত্যেক প্রকাশনীর আলাদা স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। তবে হাজার হাজার বইয়ের মধ্যে শিল্পের বিচারে কয়টি বই উত্তীর্ণ হতে পেরেছে?
এমন একটা প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত থেকেই যায়।কেননা শিল্পের শক্তি ,শিল্পীর দায়-দায়িত্ব সম্মন্ধে লেখকের যথেষ্ট জানা-শুনা আছে কিনা? শিল্পী হিসেবে এই যন্ত্র ও যন্ত্রণার যুগে একজন লেখকের যে সংকট-সমস্যার অনুভূতি থাকা প্রয়োজন তা আছে কিনা? কিংবা এক্ষেত্রে তার উপলব্ধি রাষ্ট্র-সমাজকে ছাপিয়ে শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত চিন্তায় পর্যবসিত হয়েছে কিনা?

বইয়ের মানোন্নয়নের প্রশ্নে উপর্যুপরি এমন সব প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে।একই সাথে কয়টি বই পাঠকের চিন্তার বিবর্তনের পথকে উম্মুক্ত করেছে, কোন কোন বই পাঠকের চিন্তারাজ্যে ঝড় তুলেছে ; তার একটা হিসাব করার অনিবার্য বাস্তবতাও প্রাসঙ্গিকভাবে চলে আসে।
এর সাথে সাহিত্যকে পুঁজি করে শিল্পের যে অযাচিত ব্যাবহার উঠতি লেখকেরকে করতে দেখা যাচ্ছে,তা যুগপৎভাবে আমদেরকে হতাশ ও আশান্বিত করে। এখানে একথাও বলে রাখা জরুরি যে, বইকে পণ্য করে বিজ্ঞাপনের বহুমূখী পন্থা অবলম্বনের ক্ষেত্রে তরুণ লেখকেরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, বাংলা সাহিত্যের বিশ্বায়নের প্রশ্নে তা মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। একই সাথে হরেক রকম বিজ্ঞাপনের ভিড়ে মননশীল লেখকদের লেখাও চাপা পরে যেতে পারে তাদের বৈষয়িক সাহিত্যের সুদর্শন ঘেরাটোপে!

তবে আশার কথা এই যে,এসবের মাঝেও কিছু ধ্যানী তরুণ জগতের তাবৎ মগ্নতাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে সাহিত্যের নিত্যনতুন দিগন্তের খবর তাদের নিরীক্ষাধর্মী গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে আমাদের  জানাচ্ছেন। যেটা আমাদেরকে আশান্বিত করে। কবিতার ক্ষেত্রে নতুন কন্ঠস্বর তৈরিতে তাদের যে শাব্দিক-ভাষিক করুকার্যতা,ভাব-সঙ্গতির যে অপূর্ব চিত্রায়ণ ; বাংলা সাহিত্যের জন্য তা আশাজাগানিয়া।

বাঙালি পাঠক সমাজকে নিয়ে সামষ্টিকভাবে কিছু বলার নেই। তাদের মধ্যে ব্যক্তি পছন্দকে এগিয়ে রেখে বই কেনার একটা আদিম প্রথা অনেক আগে থেকেই চালু আছে। তবে ইদানিং শুধুমাত্র অন্যের পছন্দ-অপছন্দের উপর ভর করে বই কেনার একটা প্রবণতা পাঠকদের মাঝে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য ভক্ত-পাঠকদের মাঝেই এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এই শ্রেণির পাঠকদের সিংহভাগই আবার বয়সে তরুণ। তারপরও জ্ঞানের বহুমাত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে এটি বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করি। কেননা সিরিয়াস পাঠকেরা বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে গুরুত্ব দেয় বেশি।কখনোই অন্যের পাঠরুচিকে পুঁজি করে এরা বই নির্বাচন করে না।তবে সব কিছুর যেমব ব্যতিক্রম আছে, এক্ষেত্রেও তেমন কিছু ব্যতিক্রম আছে!
বইমেলা নিয়ে লেখাটি শুরু করলেও স্থানিক প্রেক্ষাপটে জায়গায় জায়গায় আলোচনার মোড় ঘুরে গেছে। এটি যে সচেতন ভাবে করা হয়েছে তা নয়। অনেকটা নিজের অজান্তেই হয়ে গেছে।আসলে মাঝে মাঝে বইমেলা নিয়ে নিজের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করে। বইকে নিয়ে যখন ব্যবসা করা হয়। সুকৌশলে যখন চেতনার নামে মৌলবাদী ধ্যান ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বইয়ের মধ্যে। তখন সত্যিই আশাহত হই!

এত সবকিছুর পরেও নানা প্রতিবন্ধকতা-সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বইমেলা স্বমহীমায় আমাদের নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে।প্রতিবছর আমাদের মাঝে আসবে নির্মোহ আত্মসমীক্ষার কষ্টিপাথর হয়ে,যার মধ্যে আমরা আমাদের বৈষয়িক যাপিত জীবনের বাইরে নিজেকে একটু পরিশুদ্ধ করতে পারি!

রচনাকাল~ ১৬/০২/২০১৮


স্মৃতির কঙ্কাল ও জুলাইয়ের ভূত : এক অন্তর্বীক্ষণ

১. এক বছর পেরিয়ে গেল, অথচ আমার ফেসবুকের সময়রেখা যেন থমকে আছে এক অদৃশ্য বিন্দুতে। হাসিনার পলায়ন কি কেবল একটি শাসনের শেষ ছিল, নাকি মুক্তিকামী ...